কোরআনে বর্ণিত গুরুত্বপূর্ণ ঘঠনা সমূহের মধ্যে একটি হলো উহুদ যুদ্ব ।উহুদ যুদ্বে জয়-পরাজয়ের সন্ধিক্ষণ:
ইসলামের ইতিহাসে মুশরিকদের সাথে মুসলিমদের দ্বিতীয় যুদ্ব, যা উহুদ যুদ্ব নামে পরিচিত । দ্বিতীয় হিজরিতে মক্কার মুসরিকরা বদর প্রান্তরে মুসলমানদের নিকট শোচনীয়ভাবে পরাজিত হওয়ায় এর প্রতিশোধ নেয়ার জন্য তৃতীয় হিজরীর শাওয়াল মাসে মদিনায় আক্রমনের জন্য রওয়ানা হয় । রাসূল (সা:) সাহাবীগনের সাথে পরামর্শক্রমে মুশরিকদের হামলা প্রতিহত করার জন্য মদীনার অনতিদূরে উহুদ পাহাড়ের পদদেশে অবস্থান করেন ।১০০০ সৈন্য নিয়ে তিনি বের হলেও পথিমধ্যে মুনাফেক আব্দুল্লাহ ইবনে উবাইয়ের নেতৃত্বে ৩০০ সৈন্য পালিয়ে যায় । উহুদের গিরিপথে আব্দুল্লাহ ইবনে যুবাইর (রা:) এর নেতৃত্বে ৫০ জন তীরান্দাজকে দায়িত্ব প্রদান করা হলো ।জয় পরাজয় সর্বাবস্থায় তাদেরকে সেখানে অবস্থানের জন্য রাসূল (সা:) নির্দেশ দেন । যুদ্বে মুশরিকদের সংখ্যা ছিল অস্ত্রসজ্জিত ৩০০০ সৈন্য ।শাওয়াল মাসের ১৫ তারিখে যুদ্বটি সংঘটিত হয় ।যুদ্ব শুরু হওয়ারকিছুক্ষণের মধ্যেই মুশরিক বাহিনী চরমভাবে পরাস্থ হয়ে ময়দান থেকে পালিয়ে যায় ।সাহাবীগণ অস্ত্র রেখে গনীমতের মাল সংগ্রহ করতে লাগলেন । যুদ্ব সমাপ্ত হয়েছে মনে করে গিরিপথের দায়িত্ব প্রাপ্তদের অনেকে গনীমতের মাল সংগ্রহে অংশগ্রহন করেন ।এদিকে মুশরিক বাহিনির প্রদান আবু সুফিয়ান (পরবর্তিতে তিনিও ইসলাম গ্রহন করেন ।)
গিরিপথ ফঁাকা দেখে পেছন থেকে মুসলমানদের উপর হামলা করলে সাহাবীগন ছত্রবংগ হয়ে পড়েন ।স্বয়ং রাসূল (সা:) এর মাথায় আঘাত লাগলে তিনি রক্তাক্ত হয়ে পড়েন ।প্রায় ৭0 জন সাহাবী এতে শাহাদাত বরন করেন ।অবশেষে সাহাবীগন সম্মিলিতভাবে মুশরিকদের মোকাবেলা করে পাহাড়ে আশ্রয় গ্রহণ করেন ।মহানবীর নির্দেশ যথাযথভাবে পালন না করার কারণে নিশ্চিত বিজয়ের পরও অনেক মাশূল দিতে হয় মুসলিম সেনাদের ।অতএব এ ঘঠনা থেকে স্পষ্ট বুঝা যায় নেতৃত্বের যথাযথ আনুগত্যের মাধ্যমেই বিকশিত হতে পারে ইসলামী আন্দোলনের সফলতার মঞ্জিল।
অধ্যয়ন করুন:(সূরা আল ইমরান :১২১, ২৫২-১৫৪)

No comments:
Post a Comment