Wednesday, 24 February 2016

কবরের আজাব

মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামীন এই জমিন সৃষ্টি করেছেন আবার নির্ধারিত সময় অতিবাহিত হওয়ার পর তা ধ্বংস করে দিবেন।

এই জমিনে বসবাস করার জন্য আল্লাহ মানুষের পাশাপাশি জীব-জন্তু,গাছ-পালা ইত্যাদি সৃষ্টি করেছেন ।তাদের ও একটি সময় নির্ধারণ করে দিয়েছেন । এই সময় শেষ হওয়ার পর তারা আল্লাহর দিকে পত্যাবর্তন করবে ।

এই মর্মে আল্লাহ কোরআনে বলেন-''প্রত্যেক প্রাণীকে মৃত্যুর সাধ গ্রহন করতে হবে'' ।
 উক্ত আয়াত দ্বারা বুঝা যায় -কোন প্রাণী এই জমিনে চিরস্তায়ী নয় ।তাকে একদিন না একদিন মৃত্যুর স্বাদ গ্রহন করতে হবে ।

 আল্লাহ অন্য আয়াতে বলছেন-'' আমি মানুষ এবং জীন জাতিকে সৃষ্টি করেছি শুধু মাত্র আমার ইবাদাত করার জন্য''





উক্ত আয়াত দ্বারা আমরা বুঝতে পারি যে, আল্লাহ মানুষ এবং জীন জাতির হিসাব নিবেন অন্য প্রাণির নয় ।মানুষ দুনিয়াতে যা করবে তার ফল ভুগ করবে আখিরাতে । যদি সে ভাল কাজ করে তাহলে সে জান্নাত লাভ করবে আর যদি সে খারাপ কাজ করে আল্লাহর বিধান না মানে তাহলে সে জাহান্নামি হবে ।আর মানুষ তা মৃত্যুর পর থেকে ভোগ করবে ।যদি সে জান্নাতি হয় তাহলে জান্নাতের আরাম তার কবরের জীবন থেকে পাবে ।আর যদি সে জাহান্নামি হয় তাহলে ও তা সে কবর থেকে পাওয়া শুরু করবে ।
 প্রত্যেক মানুষকে কবরে প্রশ্ন করা হবে যদি সে নেককার হয় তাহলে প্রশ্ননের উত্তর সহজে দিতে পারবে ।আর যদি সে পাপী হয়  তাহলে সে কোন প্রশ্নের উত্তর দিতে  পারবেনা ।

কবরের আযাব সম্পর্কে রাসূল (সা:) বলেন:
প্রথম হাদিস: হযরত ওসমান (রা:) হতে বর্ণিত । তিনি বলেন রাসুল (সা:) মৃতব্যক্তিকে দাফন করে যখন অবসর হতেন, তখন সেখানে কিছুক্ষণ দাড়আতেনেবং সমবেত মুসলিম জনতাকে বলতেন, তোমরা তোমাদের দ্বীনি ভাইয়ের (মৃতব্যক্তির) জন্য ক্ষমা পার্থনা কর ।অত:পর ঈমানের ওপর তাকে দৃঢ রাখার জন্য আল্লাহর কাছে দোয়া কর । কেননা এখন তাকে প্রশ্ন করা হচ্ছে । (আবু দাউদ)
 দ্বিতীয় হাদিস: হযরত আবু সাঈদ খুদরী (রা:) হতে বর্ণিত । তিনি বলেন রাসুল (সা:) ইরশাদ করেছেন,অবশ্যই কাফেরের উপর তার কবরে নিরানব্বিটি বিষাক্ত সাপ চাপিয়ে দেওয়া হবে । আর এ বিষাক্ত সাপগুলো তাকে কেয়ামত অনুষ্টিত হওয়া পর্যন্ত দংশন করতে থাকবে । আর সাপগুলোর বিসক্রিয়া এতই তীব্র যে, এদের মধ্য হতে একই সাপও যদি দুনিয়াতে নি:শ্বাস ছাড়ত তাহলে যমীন কোন সবুজ তৃণলতা ও উদ্ভিত জন্ম দিত না ।  (দারেমী)







সুতরাং উক্ত হাদীস দ্বারা এ কথা স্পষ্ট বুঝা যায় যে,দুনিয়ার কৃতকর্মের ফল আখিরাতে ভোগ করতেই হবে,আর তার প্রথম পর্যায় হল কবর ।যেখানে আমদের জন্য কঠিন শাস্তি অপেক্ষা করছে ।তাই চলুন সকল পাপাচারকে লাতি মেরে ইসলামের রাহে জীবন পরিচালনা করি । আমীন!

No comments:

Post a Comment