হযরত লূত (আ:)ছিলেন হযরত ইব্রাহিম (আ:) এর ভাতিজা ।
প্রথমে তিনি ইব্রাহিম (আ:) কর্তৃক আনীত বিধানের প্রতি ঈমান আনয়ন করেন ।পরবর্তিতে মহান আল্লাহ তাকে নবী হিসাবে মনোনিত করেন এবং তার নিকট ওহী প্রেরণ করেন ।হযরত লূত (আ:) এর কাওমের লোকেরা ছিল অত্যন্ত নিকৃষ্ট স্বভাব ও খারাপ চরিত্রের ।তারা নারীদের সাথে বিবাহ বন্দনে আবদ্ব না হয়ে পূরুষে পূরুষে যৌন প্রয়োজন মিটাত এবং তাদের নারী পুরুষেরা অবাধ যৌনচার করত ।হযরত লূত (আ:) তাদেরকে অসংখ্যবার এ ধরনের অপকর্ম থেকে বিরত থেকে নারী পুরুষে স্বাভাবিক বৈবাহিক পন্তা অবলম্বন করার আহবান জানান এবং তাদের অপকর্ম সম্পর্কে বারবার সতর্ক করেন ও ভীতি প্রদর্শন করেন । কিন্তু তারানবীর কথাকে উপেক্ষা করে নিজেদের এহেন অপকর্ম চালিয়ে যায় । তারা নবীর সতর্কবার্তাকে কটাক্ষ করে বলতে থাকে তুমি এসব কথা বলা বন্ধ না করলে তোমাকে এ এলাকা থেকে বের করে দেওয়া হবে ।হযরত লূত (আ:) তাদের এসব অপকর্ম থেকে আল্লাহর নিকট আশ্রয় চাইলেন ।অবশেষে আল্লাহ তায়ালা কয়েকজন ফেরেশতাকে পাটালেন তারা প্রথমে হযরত ইব্রাহিম (আ:) এর সাথে সাক্ষাত করে জানালেন আমরা লূত (আ:) এর কাওমকে ধ্বংস করার জন্য আল্লাহর পক্ষ থেকে এসেছি ।এরপর ফেরেশতাগণ সুশ্রী ছেলেদের আকৃতিতে হযরত লূতের নিকট আসেন।সুশ্রী ছেলেদের দেখে ঐ সম্প্রদায়ের অসভ্য লোকগুলো নিজেদের অপকর্ম চরিতার্থ করতে হযরত লূত (আ:) কে চাপ দিতে থাকে ।নবী পেরেসান হয়ে বলতে থাকেন এরা আমার মেহমান, তোমরা তাদের অপমানিত করোনা ।তখন ফেরেশতাগন নবীর কাছে নিজেদের পরিচয় পেশ করে বলেন এদের বিষয়টি আমরা দেখছি ।আপনি সকাল হওয়ার আগেই আপনার পরিবারের লোকদের নিয়ে এ এলাকা ছেড়ে চলে যাবেন । তবে আপনার স্ত্রী কে সাথে নিবেন না । কারণ সে ও এসব অপকর্মের পক্ষে । চলে যাবার সময় পরামর্শ দেয়া হলো কেউ যেনো পেছনে তাকায় । সকাল হতে না হতেই মহান আল্লাহর নির্দেশে সে এলাকাকে উল্টে দেয়া হলো এবং আকাশ থেকে প্রবল ভাবে পাথর বৃষ্টি বর্ষণ করে পাপাচারী এ সম্প্রদায়কে চিরতরে নিশ্চিনহ করে দেয়া হল ।
বর্তমানে যে এলাকাকে ট্রান্স জর্ডান বলা হয় ।সেখানেই ছিল এ জাতির বসবাস । হেজাজ থেকে সিরিয়া এবং ইরাক থেকে মিশর যাবার পথে এ ধ্বংসপ্রাপ্ত এলাকাটি পড়ে । এটি মৃত সাগর তথা লূত সাগরের পূর্ব ও দক্ষিনে ।
বিস্তারিত জানতে অধ্যায়ন করুন:সূরা হজ্জ:43 ;আরাফ:80_84;হুদ:70-74'

No comments:
Post a Comment