Monday, 15 February 2016

আসহাবুল উখদুদ:গর্তওয়ালাদের ইতিহাস

আসহাবুল উখদুদ:গর্তওয়ালাদের ইতিহাস:

গর্তে আগুন জালিয়ে ঈমানদাদেরকে তার মধ্যে নিক্ষেপ করার একাধিক ঘঠনার বর্ণনা পাওয়া যায়।
এ থেকে জানা যায় এ ধরনের ঘঠনা একাধিক বার ঘটেছে।হযরত সুহাইব রুমী (রা) রাসূল (সা:) থেকে বর্ণনা করেছন, এক বাদশার নিকট একজন যাদুকর ছিল। বৃদ্ধবয়সে সে বাদশাহকে বলল একজন যুবককে আমার কাছে নিয়োগ কর সে আমার কাছ থেকে যাদু শিখে নেবে।কথামত বাদশাহ এক যুবককে নিযুক্ত করল।যুবকটি যাদুকরের নিকট আসা যাওয়ার পথে একজন পাদ্রীর ( সম্ভবত হযরত ঈসা (আ:) এর অনুসারী )সাথে পরিচিত হল। পাদ্রীর কথায় প্রভাবিত হয়ে সে ঈমান আনল। এমনকি তার শিক্ষায় সে অন্ধদের দৃষ্টিশক্তি  ফিরিয়ে দিতে এবং কুষ্ট রোগ নিরাময় করতে লাগল।যুবকটি তাওহীদের প্রতি ঈমান এনেছে শুনে বাদশাহ প্রথমে পাদ্রীককে হত্যা করল।তারপর যুবকটিকে হত্যার জন্য বিভিন্ন অস্ত্র ব্যবহার করেও তাকে হত্যা করতে ব্যর্থ হল।শেষে যুবকটি বলল তুমি আমাকে হত্যা করতে হলে জনসমাবেশে "বিইমি রাব্বিল গোলামী " ( যুবকটি রবের নামে) বাক্য উচ্চারণ করে আমাকে তীর মারো তাতেই আমি মারা যাবো।বাদশাহ তাই করলা । ফলে যুবকটি মারা গেল।ঘঠনা দেখে উপস্তিত লোকেরা চিৎকার করে বলল আমরা এ ছেলেটির রবের প্রতি ঈমান আনলাম। (সুবহানআল্লাহ )
বাদশাহ এতে ক্রুদ্ব হয়ে রাস্তার পাশে গর্ত করে তাতে আগুন জালালো । যারা ঈমান ত্যাগ করতে রাজি হয়নি তাদের সকলকে এই গর্তে নিক্ষেপ করে হত্যা করা হল ।
 [মুসনাদে আহমদ, মুসলিম,নাসাঈ,তিরমিযী] ।

 হযরত আলী [রা:] থেকে আন্য একটা ঘটনা বর্নিত হয়েছে । ইরানের এক বাদশাহ শরাব পান করে নিজের বোনের সাথে ব্যভিচার করে এবং উভয়ের মধ্যে অবৈধ সম্পর্ক স্তাপিত হয় । কথাটি প্রকাশ হয়ে গেলে বাদশাহ জনসমক্ষে ঘোষনা করে দেয় যে, আল্লাহ বোনের সাথে বিবাহ হালাল করে দিয়েছেন । লোকেরা তার কথা মানতে রাজী হয়নি । ফলে সে নানান ধরনের শাস্তি দিয়ে লোকদের একথা মানতে বাধ্য করে ।এমনকি সে অগ্নি কুণ্ড  জ্বালিয়ে যে ব্যক্তি একথা মানতে প্রস্তুত হয়নি তাকে তার মধ্যে নিক্ষেপ করতে থাকে । হযরত আলী বলেন,তখন থেকেই অগ্নি উপাসকদের মধ্যে রক্ত সম্পর্কের আত্বীয়কে বিয়ে করার পদ্বতি প্রচলিত হয়।
(ইবনে জাবির)


ইসলামের ইতিহাসে এই ধরনের বহু ধটনা আছে যা বলে বা লিখে শেষ করা যাবে না । তাই চলুন আমরা মুসলমান হিসাবে ইমান রক্ষার সার্থে মুসলমান দের পক্ষে অবস্তান নেই আর ইসলাম সম্পর্কে বেশি বেশি স্টাডি করি।












No comments:

Post a Comment