মুসলিম জাতীর পিতা ইব্রাহীম (আ:) ।অনেক সাধনার মাধ্যমে তিনি মহান আল্লাহর পরিচয় লাভ করেন । সত্য দ্বীনের প্রচার করতে গিয়ে তিনি অনেকগুলো কঠিন কঠিন পরিক্ষার সম্মুখীন হন ।
তিনি সকল পরীক্ষায় সম্মানজনক ভাবে উত্তীণ হন ।তার পিতা ছিলেন মুশরিক যার নিকট সব সময় আযর নামক একটি মুর্তি থাকত বিধায় তাকে আযর নামেই ডাকা হত । তৎকালীন মুশরিকদের সরদার ক্ষমতাধর নমরুদের আধিপত্যকে উপেক্ষা করে ইব্রাহীম (আ:) তাওহীদের দাওয়াত দিতে থাকেন । একদিন মুশরিকরা সকলে মেলায় সমবেত হয় । কিন্তু ইব্রাহীম (আ:) তাতে অংশগ্রহণ করেননি । ইতোমধ্যে নমরুদের রাজপ্রাসাদ ফাকা পেয়ে ইব্রাহিম (আ:) সেখানে গিয়ে একটি কুঠার দিয়ে সবগুলো মুর্তি ভেজ্ঞে ফেলেন এবং বড় মুর্তিটির নাক কান কেটে তার গলায় কুঠারটি ঝুলিয়ে দিলেন । প্রাসাদে ফিরে এলে তারা এ অবস্তা দেখার পর ইব্রাহীম (আ:) কে এর জিন্য দায়ী করে ।তিনি স্পস্ট ভাবে বলে দিলেন কুঠার নিয়ে দাডানো তোমাদের বড় প্রভুকে জিজ্ঞেস কর কেন সে অন্যদেরকে ভেজ্ঞে ফেলল ।তারা আশ্চর্য হয়ে বলল, মুর্তি কি কথা বলতে পারে? জবাবে তিনি বললেন, যারা কথা বলতে পারেনা, নিজেদের রক্ষা করতে পারে না, তারা কিভাবে তোমাদের প্রভু হতে পারে? ইব্রাহীম (আ:) এর অপ্রতিরোধ্য দাওয়াতি তৎপরতা চিরতরে নির্মুলের লক্ষে নমরুদ তার সভাসদকে নিয়ে বসে বসে সিদ্বান্ত নিল যে, হযরত ইব্রাহীম (আ:) এই কাজ হতে নিবৃত না হলে তাকে অগ্নিকুন্ডে নিক্ষেপ করা হবে । অনঢ, অটল, সিংহসাদুল ইব্রাহীম (আ:)বাতিলের কাছে মাতানত না করে আগুনে নিক্ষেপ্ত হওয়াকেই বেছে নিলেন।পিতা আযর ও ইব্রাহীম (আ:) এর বিরুদ্বে অবস্তান নিয়ে নমরুদকে সহযোগিতা করে । তাকে আগুনে নিক্ষেপ করা হলে মহান। আল্লাহর নির্দেশে আগুন শীতল ও সহনীয় হয়ে গেল । আর অগ্নিকুন্ড পরিনত হল ফুলবাগানে । এভাবে মুশরিকদের চোখে তাক লাগিয়ে মহান আল্লাহ তার নবীকে রক্ষা করেন । যারা পরকালীন জইবনের বিনিময়ে দুনিয়ার জীবনকে বিকিয়ে দেয়, আল্লাহর সন্তোষ লাভের আশায় তার রাহে নিজেদের উৎসর্গ করে তাদেরকে মহান আল্লাহ সহযোগিতা করেন,যেমনটি করেছিলেন ইব্রাহীম (আ:) কে ।
সুতরাং উক্ত ঘঠনা থেকে বুঝা যায় সত্যের জয় সুনিশ্চিত!

No comments:
Post a Comment